মেক্সিকো সিটির একটি জাদুঘরে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মোমের মূর্তি ভেঙে ফেলেছেন ফিলিস্তিনপন্থি এক বিক্ষোভকারী। গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারী হাতুড়ি দিয়ে মূর্তিটি ভেঙে লাল রং মাখিয়ে দেন এবং ধাক্কা দিয়ে মূর্তিটি ফেলে দেন। এ সময় তিনি ‘ফিলিস্তিন চীরজীবি হোক’ স্লোগান দেন।
 
মেক্সিকোতে ইসরায়েলের দূতাবাস এই ঘটনাকে 'ঘৃণ্য কাজ' বলে আখ্যা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, মূর্তি ভাঙা সহিংসতা, অসহিষ্ণুতা এবং ঘৃণার বার্তা দেয়। এটি বৈধ সমালোচনা নয় বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
 
এদিকে গাজায় সাধারণ মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক এই আদালত বলেছে, এর সদস্য দেশগুলোতে নেতানিয়াহু প্রবেশ করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের হাতে তুলে দিতে হবে।
 
মেক্সিকো সিটির এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে চলমান ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনের একটি উদাহরণ। গাজায় মানবিক সংকট এবং ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
 
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলের সমর্থকরা এটিকে ঘৃণা ও সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনপন্থিরা এটিকে তাদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের প্রতিফলন বলছেন।
 
মেক্সিকোতে নেতানিয়াহুর মোমের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ফিলিস্তিন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের ভিন্নমত এবং উত্তেজনার প্রতিফলন। এই ঘটনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়েছে।